স্বদেশ ডেস্ক:
বগুড়ার শেরপুরে অবৈধ বালু মহলে অভিযান চালানোর পর ইউএনওর গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় আটজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন গজারিয়া গ্রামের তোজামের ছেলে ইব্রাহিম, গোলাম নবীর ছেলে শাহিন শাহ, মেহের আলীর ছেলে ফরহাদ, জাফর পরামানিকের ছেলে আলম, হাফিজুরের ছেলে ওসমান, গোলাম নবীর ছেলে মেহেদী, নলডাঙ্গা গ্রামের আশরাফ পরামানিকের ছেলে ফরহাদ ও শাহাজান আলীর ছেলে রুবেন।
শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত কোনো অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, শনিবার দুপুরের পর থেকেই উপজেলার শেরুয়া বটতলা বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ঠেকাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ লিয়াকত আলী সেখের নেতৃত্বে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছিল। এসময় খানপুর ইউনিয়নের বড়ইতলী নবীনগর ও নলডাঙ্গি এলাকায় বাঙালি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর আসে। পরবর্তীতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। সেখানে কাউকে না পাওয়ায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সরঞ্জামগুলো খোলা হচ্ছিল। এসময় বালু উত্তোলনকারীদের ভাড়াটে লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে তাদেরকে ঘিরে ফেলেন। একইসাথে চড়াও হন। এমনকি তারা উত্তেজিত হয়ে তার গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এসময় তার সাথে অভিযানে থাকা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) অফিসের অফিস সহকারি উজ্জল মোহন্ত ও নৈশ্যপ্রহরী মুঞ্জুরুল হক বাধা দিতে গেলে তাদের বেধড়ক মারধর করে আহত করা হয়। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ আসার পর হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৮০-৮৫ জনকে অজ্ঞাতনামা করে নৈশপ্রহরী মুঞ্জুরুল হক শেরপুর থানায় মামলা করেছেন।